সৎকাজ

যদি তোমরা প্রকাশ্যে ও গোপনে সৎকাজ করে যাও অথবা কমপক্ষে অসৎকাজ থেকে বিরত থাকো, তাহলে আল্লাহও বড়ই ক্ষমা-গুণের অধিকারী৷ অথচ তিনি শাস্তি দেবার পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।(সূরা,নিসা- ১৪৯)

Tuesday, January 22, 2013

মাওলানা আযাদের 'ফাঁসির রায়' ও জামায়াতের অবস্থান


মাওলানা আযাদের 'ফাঁসির রায়' জামায়াতের 'প্রতিবাদ না করা' এসব  নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মাওলানা আযাদের পক্ষে জামায়াত দাড়ায়নি এর প্রতীবাদে(?) এমন এমন কিছু লোক ফেটে যাচ্ছে , যারা এতদিন মাওলানার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে বেড়িয়েছেন।
মাওলানা আযাদের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই আদালতে তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিলনা। কিছুলোক বাংলানিউজ২৪'এ প্রকাশিত 'ডঃ মাসুদ'র একটি বক্তব্য (মাওলানা আযাদ জামায়াতের কেউ নয়) নিয়ে সমালোচনা করছেন। এটা সর্বজন স্বীকৃত যে 'বাংলানিউজ২৪' জামায়াত শিবির সম্পর্কে সবসময়েই সত্য মিথ্যা মিশ্রিত খবর প্রচার করে।
এটা ঠিক যে  মাওলানা আযাদ কৌশলগত বা যে কোন কারনেই হোকনা কেন জামায়াতের সাথে প্রকাশ্য কোন সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু তিনি জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে ঠিকই যুক্ত ছিলেন। ছাত্র শিবিরের প্রোগ্রাম সমূহে তিনি ছিলেন নিয়মিত অথিতি। চরমোনাই পীরের একটি বক্তব্যের ( জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়) প্রতীবাদে মাওলানা আযাদের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, যার অডিও রেকর্ড এখন বাজারে পাওয়া যায়।
মূলত মাওলানা আযাদের বিষয়টা গোড়া থেকেই রহস্যজনক। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত নেতৃবৃন্দ সহ তাদের টার্গেট কৃত সকলকেই গোয়েন্দা নজরদারীতে রেখেছিল। এই কড়া নজরদারীর মধ্যে মাওলানা আযাদ পালিয়ে যাবেন এটা চিন্তা করাই বোকামি। তাঁর চেয়েও রহস্য জনক বিষয় তাঁর পরিবারের নীরবতা ও নিরুদ্বিগ্ন ভাব। এর কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলেন প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা। কিন্তু তাদের এই যুক্তি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ একটি পরিবারের প্রধান হারিয়ে যাবেন বা সরকারের হাতে গুম হয়ে যাবেন তাঁর পরিবার সরকারের ভয়ে মুখ বন্ধ করে রাখবেন এটাও কি সম্ভব ! ।
বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, মাওলানা আযাদের হারিয়ে যাওয়া, তাঁর পরিবারের নীরবতা,  এর সবকিছুই হচ্ছে সরকার এবং মাওলানার পরিবারের সমজতার ভিত্তিতে । জামায়াতের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারো  ব্যাপারে সরকার  ইন্টারেস্টেড নয়। জামায়াত নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারকে বৈধতা দেয়ার জন্য বিএনপির কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার কারা হোলেও তাদের মামলা গুলোর কোন অগ্রগতি নেই, বিএনপি নেতা আব্দুল আলিমকে জামিন দিয়ে রেখেছে ট্রাইব্যুনাল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এত উল্টাপাল্টা আচারনের পরও তাঁর মামলার ধীরগতি কি প্রমান করে? অথচ নির্যাতনের অভিযোগে যে কজনকে এই পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে  তাঁর মধ্যে সাকা চৌধুরীই একমাত্র ব্যক্তি, যে সরাসরি নির্যাতনকারী হিসেবে স্বীকৃত।মাওলানা আযাদের উপর সরকারের নজর পড়ার একমাত্র কারণ, তাঁর  সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা।   তাকে লুকিয়ে  সরকার তাঁর মুখ যেমন বন্ধ করতে পেরেছে একটি  রায়ের জন্য পাগল হয়ে যাওয়া বামপন্থী মিডিয়া ও ঘাদানিক নেতাদেরকেও শান্ত করতে পেরেছে।

Tuesday, January 8, 2013

দীপুমনির ওয়েবসাইট হ্যাক

দীপুমনি ডটকম হ্যাক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামের এ সাইটটি এ মুহূর্তে পুরোপুরি হ্যাকারদের দখলে। সিলেট সিকিউরিটি সাইবার গ্রুপ নামে একটি দেশি হ্যাকার দল নামধারী এ সাইটি হ্যাকের সুস্পষ্ট দায়িত্ব স্বীকার নিয়েছে।

হ্যাকের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির নিখোঁজ সভাপতি এম ইলিয়াস আলী সম্পর্কে সরকারের নিরব ভূমিকা। যদি ইলিয়াস আলীকে খোঁজার প্রক্রিয়া আরও সক্রিয় করা না হয় তাহলে আওয়ামী লীগপন্থী যতগুলো সাইট আছে সবই এক এক করে হ্যাক করা হবে।



দিপু মনির সাইটের বর্তমান অবস্থা। 

Saturday, January 5, 2013

যে আদালতে স্বচ্ছতা নেই সেখানে কোন আলেমতো দূরের কথা সাধারণ মানুষেরও বিচার হতে পারে না


বাংলাদেশে আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কা'বার ইমামদের মানববন্ধন
ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা কা'বার খতিব বিখ্যাত ক্বারী শাইখ আব্দুর রহমান আল সুদাইসীর নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে ইমাম পরিষদ।
মানব বন্ধনে শাইখ সুদাইসী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাথে পরিচিত। সারা দুনিয়ার যত সম্মানিত মানুষ কা'বা শরীফের ভিতরে প্রবেশের সৌভাগ্য লাভ করেছে তিনি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মাওলানা নিজামীসহ যে সমস্ত আলেমদের কারাগারে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নির্যাতন করা হচ্ছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে এই আলেমদের দোষ একটাই, আর তা হল কুরআনের খেদমত করা। আর যারা ইসলাম ও কুরআনের খেদমত করে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন নতুন কিছু না। মানবতা বিরোধী অপরাধের ধোয়া তুলে আলেমদের প্রতিহত করা কোনো সচেতন মানুষ তা মেনে নেবে না। যে আদালতে স্বচ্ছতা নেই সেখানে কোনো আলেমতো দূরে থাক সাধারণ মানুষেরও বিচার হতে পারে না। তিনি আরো বলেন, আল্লামা সাঈদীর শুধু বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব নয়, তিনি সারা দুনিয়ার মানুষের প্রিয় মানুষ। যার নমুনা আমি লন্ডনের জাতীয় মসজিদে আয়োজিত আনুষ্ঠানে দেখেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কুবা মসজিদের খতিব শাইখ আহমদ ইবনে আলী আল হুজায়ফীসহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ bdinn 

Thursday, January 3, 2013

ধর্ষণকালে হাতেনাতে ধরা পড়ে মহিলাদের হাতে পিটুনি (ভিডিও)

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা তরুণীকে গণধর্ষণের সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার আসামে ধর্ষণকালে হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন এক কংগ্রেস নেতা। গ্রামবাসী ধর্ষণকালে ওই কংগ্রেস নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে আসামের চিরাং জেলার সালবারিতে। জনরোষের মুখে পুলিশ তাকে আটকের পর মামলা না হওয়া পর্যন্ত থানা হাজতে আটকে রেখেছে।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিক্রম সিং ব্রাহ্মা নামের ওই লম্পট কংগ্রেস নেতাকে গ্রামবাসীর পেটানোর দৃশ্য প্রচার করেছে। এতে দেখা যায় গ্রামের বিক্ষুব্ধ

মহিলারা বিক্রম সিংকে পিটিয়ে তার গায়ের কাপড় খুলে নিচ্ছেন। খবরে বলা হয়েছে বুধবার রাতে এক মহিলাকে ধর্ষণের জন্য গেলে ধরা খায় বিক্রম সিং।

আবদুল্লাহ তাহেরের মুক্তি দাবিতে রোববার কুমিল্লায় হরতাল

কুমিল্লা: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে রোববার কুমিল্লায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করবে জামায়াত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াত এই হরতাল আহ্বান করে।

আবদুল্লাহ তাহের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল, শুক্রবার জেলাব্যাপী দোয়া দিবস এবং শনিবার হরতালের সমর্থনে মিছিল।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর নায়েবে আমীর মাস্টার আমিনুল হক, কুমিল্লা মহানগর শিবির সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব।

জামায়াতের শীর্ষ নয় নেতা কারাবন্দি থাকায় সম্প্রতি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বিভিন্ন বৈঠক এবং কর্মসূচিতে জামায়াতের পক্ষে আবদুল্লাহ তাহেরকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায়।

সিরিয়ায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও ইরানের ভূমিকা

সরিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সুন্নি মুসলিম হলেও সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত হাফিজ আল আসাদ সেনা সক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করে ষাট'র দশকের শেষের দিকে।তারপর থেকে দীর্ঘ ৪২ বছর ৭৪% ভাগ সুন্নি মুসলিমকে ১২% ভাগ আলাউই শিয়া শাসন করে আসছে। ১৯৮২ সনে একবার হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। সে সময়ে বিদ্রোহ দমনের নামে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশাদের পিতা হাফিজ সিরিয়ার হামা শহরে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল।

২০১১ সনে দীর্ঘদিনের একনায়কতান্ত্রিক শাসন, শোষণ, নিপীড়ন নির্যাতন, ইত্যাদি থেকে জেগে উঠা ক্ষোভ তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন, হয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিয়ার দামেস্কো ও দেরা শহরে পৌঁছায়। সে গণজাগরণ ঠেকাতে বাশার আল আসাদ তার পিতা থেকেও ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করে মানুষ হত্যার মহোৎসবে মেতেছে।

গ্রামের পর গ্রাম মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে আসাদের বিমানবাহিনী, আলোপ্পা, দামেস্কো সহ অন্যান্য শহর গুলো জনমানব শূন্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্য লক্ষ্য সাধারণ জনগণ পাশ্ববর্তী দেশ সমূহে আশ্রয় নিচ্ছে। নিজ জনগণের উপর নির্বিচারে হেলিকপ্টার থেকে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। স্থল পথে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্যাঙ্ক ও ভারি অস্ত্র ।

এই পরিস্থিতিতে যখন সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষরা আসাদ’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, তখন তথাকথিত ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্র’ ইরান বাসার’র মত রক্তপিপাসু’কে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে । সিরিয়ান সেনাবাহিনী যখন কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে, অবিযোগ রয়েছে যে, ইরানী সেনাবাহিনী সিরিয়ায় প্রবেশ করে নিরীহ মুসলিমদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ইরানের ‘ইসলামী মুখশ’ মূলত খসে পড়া শুরু হয় ‘আরব বসন্ত’ শুরু হওয়ার পর থেকে। তিউনিসীয়া থেকে যখন আরব বসন্ত শুরু হয়, তখন ইরানী মিডিয়া গুলো এর নাম দিয়েছিল ‘মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামী জাগরণ’। সেই ‘ইসলামী জাগরণ’ যখন সিরিয়ায় পৌঁছয়,তখন ইরান তার নাম দিয়েছে, ‘সিরিয়ায় বিদেশী হস্তক্ষেপ’।একই সময়ে সৌদি আরবের শিয়া অধ্যুষিত এলাকা কাতিফে রাজ পরিবার বিরুধি আন্দোলনকে ফুলীয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে সেটাকে ‘ইসলামী জাগরণ’ বলে প্রচার চালাচ্ছে। বাংলা ভাষায় ইরানের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র মিডিয়া ‘রেডিও তেহরান’ ও তাদের বাংলা ওয়েব সাইট। এই সংবাদমাধ্যমটি নির্লজ্জভাবে সিরিয়ার সরকারী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার জনতাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করছে। সিরিয়ার গণহত্যার বিপক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেয়া বক্তৃতা বিবৃতিকে বিকৃত করে প্রচার করছে এবং তাদেরকে বলছে ‘কট্টরপন্থী ওহাবি’। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিপক্ষে ও ধ্বংস, হত্যাযজ্ঞের সপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইরান প্রমান করেছে তাদের কাছে ইসলাম বা জনস্বার্থ ছেয়ে নিজস্ব সাম্প্রদায়িক স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ।